Friday, June 16, 2023

সংবিধান সম্পর্কিত আলোচনা - মোঃ হেলাল উদ্দিন

সংবিধান:

সংবিধান হলো রাষ্ট্রের জীবন পদ্ধতি, যা রাষ্ট্র তার জন্য বেছে নিয়েছে। (এরিস্টটল)

সংবিধান হলো এমন কতকগুলো নিয়মের সমষ্টি, যা শাসকের ক্ষমতা ও শাসিতের অধিকার এবং উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের সামঞ্জস্য বিধান করে। (সি এফ স্ট্রাং)

সংবিধানের উৎস:
সংবিধানের উৎস সমূহের মধ্যে আছে-
১. প্রচলিত রীতিনীতি,
২. লিখিত দলিল,
৩. বিচারকের রায়,
৪. বিধিবদ্ধ আইন,
৫. গণপরিষদ,
৬. সাধারণ আইন,
৭. প্রামাণ্য পুস্তকসমূহ ইত্যাদি।

সংবিধান প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি:
সংবিধান প্রতিষ্ঠার পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে-
১. অনুমোদন। যেমন- ১২১৫ সালের ম্যাগনাকার্টা, ১৭৯৯ সালের নেপোলিয়নের এবং ১৯০৫ সালে দ্বিতীয় জার নিকোলাসের সংবিধান ঘোষণা,
২. গণপরিষদ। আমেরিকা, ভারত, বাংলাদেশের সংবিধান,
৩. ক্রমবিবর্তন। যেমন-  ব্রিটিশ সংবিধান, এবং
৪. বিপ্লব। যেমন- ১৯১৭ সালের রাশিয়ার সংবিধান, স্পেনের সংবিধান।।

সংবিধানের প্রকারভেদ:
লেখার উপর ভিত্তি করে সংবিধান দুই প্রকার। যথা-
১. লিখিত সংবিধান এবং
২. অলিখিত সংবিধান।

পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে সংবিধান দুই প্রকার। যথা-
১. সুপরিবর্তনীয় সংবিধান এবং
২. দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান।

উত্তম সংবিধানের বৈশিষ্ট্য:
একটি উত্তম সংবিধানের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে-
১. সুস্পষ্টতা,
২. সংক্ষিপ্ততা,
৩. স্থায়িত্ব,
৪. ব্যাপকতা,
৫. লিখিত,
৬. মৌলিক অধিকার,
৭. জনমতের অগ্রাধিকার,
৮. বিচার বিভাগের প্রাধান্য প্রভৃতি।

No comments:

Post a Comment