Monday, January 16, 2023

ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রয়োগ

 

ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রয়োগ
 
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রয়োগ দেখা যায়। তবে এ প্রয়োগ আংশিক, সম্পূর্ণ নয়। কতিপয় দেশের ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রয়োগ হলো-
 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে এ নীতির প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়। আইন বিভাগের ক্ষমতা কংগ্রেসের উপর, শাসন বিভাগের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির এবং বিচার বিভাগের ক্ষমতা সুপ্রীম কোর্ট ও অন্যান্য আদালতের হাতে থাকে। এতদসত্তেও এখানে এ নীতির পূর্ণ প্রয়োগ দেখা যায় না। কারন প্রেসিডেন্ট বাণী প্রেরণের মাধ্যমে, নির্বাহী বিভাগ আদেশের মাধ্যমে এবং বিল ভেটো প্রদানের মাধ্যমে কংগ্রেসকে প্রভাবিত করে থাকে। অনুরুপভাবে সিনেটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টকেও প্রভাবিত করে থাকে।
 
ব্রিটেনঃ ব্রিটেনে এ নীতির কার্যকারিতা সম্পর্কে উইলোবি বলেছেন, ব্রিটেন সরকারের কার্যক্রমের দিকে তাকালে দেখা যায় যে সেখানে বিভাগীয় স্বতন্ত্রীকরণ নীতিটি অত্যন্ত স্থূলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। যা অত্যন্ত কম বা কোন সরকার ব্যবস্থাতেই পরিলক্ষিত হয়না।
 
বাংলাদেশঃ বাংলাদেশের সংবিধানে এটা আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়নি। সংবিধানে আলাদা তিনটি বিভাগের কথা বলা হলেও আইন সভার স্বার্বভৌমত্বকে স্বীকার করা হয়েছে। শাসন বিভাগ আইন সভার নিকট দায়ী, বিচার বিভাগ কোন আইন বাতিল করতে পারে না, শুধু সংবিধান বিরোধী বা অবৈধ বলতে পারে। তাছাড়া বিচারকদের নিয়োগ শাসন বিভাগের হাতে এবং অপসারণ আইন ও শাসন বিভাগ সংশ্লিষ্ট।
 

ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রয়োগ

মোঃ হেলাল উদ্দিন

No comments:

Post a Comment