Monday, September 19, 2022

গুণগত গবেষণা পদ্ধতি

গুণগত গবেষণা
যেসব গবেষণায় গাণিতিক সংখ্যা ভিত্তিক গবেষণার তথ্যাদির প্রকাশ ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষন করা যায় না বরং গবেষক সে ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক চেতনা পদ্ধতির কৌশলের প্রয়োগ করে থাকেন তাদেরকে গুণগত গবেষণা ( Qualitative Research) বলা হয়। অর্থাৎ গাণিতিক সংখ্যা ছাড়া বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তথ্যাদির সংগ্রহ,ব্যাখ্যা,বিশ্লেষণ এবং ফলাফল প্রদান করা হয় যেসব গবেষণায় তাদেরকেই গুণগত গবেষনা বলা হয়ে থাকে। কেউ কেউ আবার এদেরকে মানসন্মত গবেষণা হিসেবেও আখ্যায়িত করেন।
এ সকল গবেষণায় সকল উপাদান, ব্যক্তি, তথ্যাদি,ফলাফল, অনুমিত সিদ্ধান্ত,চূড়ান্ত মূল্যায়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কখনই গাণিতিক সংখ্যার প্রয়োগ করা হয়নি। এক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, কৌশল এবং কার্যধাপের আনুশীলন করা হয়ে থাকে। অত্যন্ত সতর্কতার সাথে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী গুণগত গবেষণা করা হয়। গুণগত গবেষনার সমস্যা নির্বাচন,উদ্দেশ্য গঠন,পদ্ধতি নির্বাচন, তথ্য বিশ্লেষণ,ফলাফল তৈরি প্রভৃতি সব ধরনের কাজই করা যায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে। বিভিন্ন অভীক্ষার জন্য তথ্য সংগ্রহকারী উপকরণ তৈরি করা,তথ্য সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণও করা হয় এ গবেষণায়।
 
গুণগত গবেষণার কিছু উপকরণ
বর্তমানে সব ধরনের পরিস্থিতে গুণগত গবেষণার চাহিদা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে এর ব্যবহার, উপকরণ,নতুনত্বের সংযোজন। গুনগত গবেষণায় বহুবিদ উপকরনের ব্যবহার করা হয়। নিম্নে গু্ণগত গবেষণার কিছু উপকরনের নাম উল্লেখ করা হলো।
১। প্রশ্ন গুচ্ছ বা অভীক্ষা( Test)
২. প্রশ্নমালা ( Questionnaie)
৩. গবেষণার পদ্ধতি ও কৌশল( Research Method & Technique)
৪. সাক্ষাৎকার সিডিউল ( Interview Seheduke)
৫. বই,খাতা, কলম,পেন্সিল (Teaching Aids)
৬. যন্ত্রপাতি (Tools)
৭. কম্পিউটার/ ল্যাপটপ (Computer / Laptop)
৮. মাল্টিমিডিয়া(Multimedia)
 
গুনগত গবেষণার ব্যবহারিক গুরুত্ব/ সুবিধা
১.গুণগত গবেষণায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির পরিপূর্ণ ব্যবহার করা সম্ভব।
২. গাণিতিক সংখ্যার/ পরিসংখ্যানিক ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণের প্রয়োজন হয় না।
৩. গবেষণার প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেশি থাকে।
৪. গাণিতিক সংখ্যার ব্যবহার না করেই পরিপূর্ণ গবেষণা করা সম্ভব।
৫. গবেষণা কর্মকাণ্ড বাস্তব চাহিদা নির্ভর।
৬. গুণগত গবেষণায় বিষয়ের প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
৭. মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী ফলাফল পাওয়া যায়।
৮. বাস্তবতার নিরিখে গুণগত গবেষণার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।
৯.বৈজ্ঞানিক কৌশলোর অনুসরণ করা যায়।
১০.বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার করা যায়।
১১.তথ্য প্রযুক্তি কাজে প্রয়োগ করা যায়।
১২. এটি গবেষক অংশগ্রহণমূলক চেতনার বাস্তবায়ন করে।
১৩। দক্ষতা নির্ভর চেতনায় প্রয়োগ করা।
 
গুণগত গবেষণার সীমাবদ্ধতা/ অসুবিধা
১.গুণগত গবেষণায় তথ্য সংগ্রহ, ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ গাণিতিক সংখ্যায় করা সম্ভব না।
২. সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা অনেক সময় কষ্টসাধ্য হয়।
৩.ঐতিহাসিক বা পরীক্ষণীয় চেতনা তেমন আসে না।
৪. পরিসংখ্যানিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করা যায় না।
৫ গবেষককে সম্পূর্ণভাবে বৈজ্ঞানিক চেতনার উপর নির্ভরশীল হতে হয় যেখানে নিজেস্ব দর্শন আসে কম।
 
উপসংহার 
বাস্তবতার নিরিখে গুণগত গবেষনার প্রয়োজনীয়তা নেক বেশি।এর মাধ্যমে গবেষণার নির্ভর যোগ্য তথ্যাদি প্রাপ্ত হয় । এটি কল্যাণকর গবেষণা চাহিদা নির্ভর বিধায় দিনে দিনে এর প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে।তাই এ গবেষণা কার্যক্রমে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন গবেষক মনোনিবেশ করছে।
 

৩৩তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডার কর্মকর্তা

No comments:

Post a Comment