Monday, September 12, 2022

সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী

সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী
শনিবার, জানুয়ারী ২৫, ১৯৭৫
 
খন্ড ৫-বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের এ্যাক্ট, বিল, ইত্যাদি
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ
ঢাকা, ২৫শে জানুয়ারী, ১৯৭৫
 
সংসদ কর্তৃক গৃহীত নিম্নলিখিত আইনটি ২৫ জানুয়ারী ১৯৭৫ তারিখে রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করিয়াছে এবং এতদ্বারা ইহা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করা যাইতেছে-
 
১৯৭৫ সনের ২ নং আইন
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের কতিপয় বিধান সংশোধনের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন
 
যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের কতিপয় বিধানের অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়,
সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল-
 
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম-এই আইন সংবিধান (চতুর্থ সংশোধন) আইন, ১৯৭৫ নামে অভিহিত হইবে।
 
২। সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদের সংশোধন-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান (অতঃপর ‘সংবিধান’ বলিয়া অভিহিত)-এর ১১ অনুচ্ছেদের ‘এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে’ শব্দগুলি বিলুপ্ত হইবে।
 
৩। সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদের প্রতিস্থাপন-সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদের পরিবর্তে নিম্নরূপ ৪৪ অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপন হইবে-
‘৪৪। মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ-এইভাগে প্রদত্ত অধিকারসমূহ বলবৎ করিবার জন্য সংসদ আইনের দ্বারা একটা সাংবিধানিক আদালত, ট্রাইব্যুনাল অথবা কমিশন প্রতিষ্ঠিত করিতে পারিবেন’।
 
৪। সংবিধানের চতুর্থ ভাগের সংশোধন-সংবিধানের চতুর্থ ভাগে,
(ক) ১ ম ও ২ য় পরিচ্ছেদের পরিবর্তে নিম্নরূপ ১ ম ও ২ য় পরিচ্ছেদ প্রতিস্থাপিত হইবেঃ
 
১ ম পরিচ্ছেদ-রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতি
৪৮। রাষ্ট্রপতি-(১) বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রপতি থাকিবেন, যিনি প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচিত হইবেন।
(২) রাষ্ট্রপ্রধানরূপে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অন্য সকল ব্যক্তির ঊর্ধ্বে স্থান লাভ করিবেন।
 
৪৯। উপ-রাষ্ট্রপতি-বাংলাদেশের একজন উপ-রাষ্ট্রপতি থাকিবেন, যিনি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন।
 
৫০। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হইবার এবং উপ-রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হইবার যোগ্যতা-কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হইবার অথবা উপ-রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হইবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি
(ক) পঁয়ত্রিশ বৎসরের কম বয়স্ক হন; অথবা
(খ) সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য না হন; অথবা
(গ) কখনও এই সংবিধানের অধীন রাষ্ট্রপতি অথবা উপ-রাষ্ট্রপতির পদ হইতে অপসারিত হইয়া থাকেন।
 
৫১। রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ-(১) এই সংবিধানের বিধানাবলীর সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি কার্যভার গ্রহণের তারিখ হইতে পাঁচ বৎসরের মেয়াদে তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন;
তবে শর্ত থাকে যে, রাষ্ট্রপতির পদের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাঁহার উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।
 
(২) রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তাহার পদ হইতে পূর্বে অপসারিত না হইয়া থাকিলে উপ-রাষ্ট্রপতি কার্যভার গ্রহণের তারিখ হইতে পাঁচ বৎসরের মেয়াদে তাহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন।
 
(৩) উপ-রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে রাষ্ট্রপতি এবং রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে উপ-রাষ্ট্রপতি স্বীয় পদত্যাগ করিতে পারিবেন।
 
(৪) রাষ্ট্রপতি অথবা উপ-রাষ্ট্রপতি তাঁহার কার্যভারকালে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন না এবং কোন সংসদ-সদস্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত কিংবা উপ-রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হইলে রাষ্ট্রপতি কিংবা উপ-রাষ্ট্রপতি রূপে তাঁহার কার্যভার গ্রহণের দিনে সংসদে তাঁহার আসন শূন্য বলিয়া গণ্য হইবে।
 
৫২। রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতির দায়মুক্তি-(১) এই সংবিধানের ৫৩ নং অনুচ্ছেদের হানি না ঘটাইয়া বিধান করা হইতেছে যে, রাষ্ট্রপতি কিংবা উপ-রাষ্ট্রপতি তাঁহার দায়িত্ব পালন করিতে গিয়া কিংবা অনুরূপ বিবেচনায় কোন কার্য করিয়া থাকিলে বা না করিয়া থাকিলে সেই জন্য তাঁহাকে কোন আদালতে জবাবদিহি করিতে হইবে না, তবে এই দফা সরকারের বিরুদ্ধে কার্যধারা গ্রহণ কোন ব্যক্তির অধিকার ক্ষুন্ন করিবে না।
 
(২) রাষ্ট্রপতি বা উপ-রাষ্ট্রপতির কার্যভারকালে তাঁহার বিরুদ্ধে কোন আদালতে কোন প্রকার ফৌজদারী কার্যধারা দায়ের করা বা চালু রাখা যাইবে না এবং তাঁহার গ্রেপ্তার বা কারাবাসের জন্য কোন আদালত হইতে পরোয়ানা জারি করা যাইবে না।
৫৩। রাষ্ট্রপতির অভিশংসন-(১) এই সংবিধান লংঘন বা গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসিত করা যাইতে পারিবে; ইহার জন্য সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার অনূন্য দুই-তৃতীয়াংশের স্বাক্ষরে অনুরূপ অভিযোগের বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়া একটি প্রস্তাবের নোটিশ স্পীকারের নিকট প্রদান করিতে হইবে; স্পীকারের নিকট অনুরূপ নোটিশ প্রদানের দিন হইতে চৌদ্দ দিনের পূর্বে বা ত্রিশ দিনের পর এই প্রস্তাব আলোচিত হইতে পারিবে না এবং সংসদ অধিবেশনরত না থাকিলে স্পীকার অবিলম্বে সংসদ আহবান করিবেন।
 
(২) এই অনুচ্ছেদের অধীন কোন অভিযোগ তদন্তের জন্য সংসদ কর্তৃক নিযুক্ত কোন ট্রাইব্যুনালের নিকট সংসদ রাষ্ট্রপতির আচরণ গোচর করিতে পারিবেন।
 
(৩) অভিযোগ-বিবেচনাকালে রাষ্ট্রপতির উপস্থিত থাকিবার এবং প্রতিনিধি-প্রেরণের অধিকার থাকিবে।
 
(৪) অভিযোগ-বিবেচনার পর মোট সদস্য সংখ্যার অনূন্য তিন-চতুর্থাংশ ভোটে অভিযোগ যথার্থ বলিয়া ঘোষণা করিয়া সংসদ কোন প্রস্তাব গ্রহণ করিলে প্রস্তাব গৃহীত হইবার তারিখে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হইবে।
 
৫৪। অসামর্থ্যরে কারণে রাষ্ট্রপতির অপসারণ-(১) শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যরে কারণে রাষ্ট্রপতিকে তাঁহার পদ হইতে অপসারিত করা যাইতে পারিবে; ইহার জন্য সংসদের মোট সদস্য-সংখ্যার অনূন্য দুই-তৃতীয়াংশের স্বাক্ষরে কথিত অসামর্থ্যরে বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়া একটি প্রস্তাবের নোটিশ স্পীকারের নিকট প্রদান করিতে হইবে।
 
(২) সংসদ অধিবেশনরত না থাকিলে নোটিশ প্রাপ্তিমাত্র স্পীকার সংসদের অধিবেশন আহবান করিবেন এবং একটি চিকিৎসা পর্ষদ (অতঃপর এই অনুচ্ছেদে পর্ষদ বলিয়া অভিহিত) গঠনের প্রস্তাব আহবান করিবেন এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তাব উত্থাপিত ও গৃহীত হইবার পর স্পীকার তৎক্ষণাৎ উক্ত নোটিশের একটি প্রতিলিপি রাষ্ট্রপতির নিকট প্রেরণের ব্যবস্থা করিবেন এবং তাহার সহিত এই মর্মে স্বাক্ষরযুক্ত অনুরোধ জ্ঞাপন করিবেন যে, অনুরূপ অনুরোধ-জ্ঞাপনের তারিখ হইতে দশ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি যেন পর্ষদের নিকট পরিক্ষীত হইবার জন্য উপস্থিত হন।
 
(৩) অপসারণের জন্য প্রস্তাবের নোটিশ স্পীকারের নিকট প্রদানের পর হইতে চৌদ্দ দিনের পূর্বে বা ত্রিশ দিনের পর প্রস্তাবটি ভোটে দেওয়া যাইবে না এবং অনুরূপ মেয়াদের মধ্যে প্রস্তাবটি উত্থাপনের জন্য পুনরায় সংসদ আহবানের প্রয়োজন হইলে স্পীকার সংসদ আহবান করিবেন।
 
(৪) প্রস্তাবটি বিবেচিত হইবার কালে রাষ্ট্রপতির উপস্থিত থাকিবার এবং প্রতিনিধি প্রেরণের অধিকার থাকিবে।
 
(৫) প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপনের পূর্বে রাষ্ট্রপতি পর্ষদের দ্বারা পরীক্ষিত হইবার জন্য উপস্থিত না হইয়া থাকিলে প্রস্তাবটি গৃহীত ভোটে দেওয়া যাইতে পারিবে এবং সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার অনূন্য তিন-চতুর্থাংশ ভোটে তাহা গৃহীত হইলে প্রস্তাবটি গৃহীত হইবার তারিখে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হইবে।
 
(৬) অপসারণের জন্য প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপিত হইবার পূর্বে রাষ্ট্রপতি পর্ষদের নিকট পরীক্ষিত হইবার জন্য উপস্থিত হইয়া থাকিলে সংসদের নিকট পর্ষদের মতামত পেশ করিবার সুযোগ না দেওয়া পর্যন্ত প্রস্তাবটি ভোটে দেওয়া যাইবে না।
 
(৭) সংসদ কর্তৃক প্রস্তাবটি ও পর্ষদের রিপোর্ট (যাহা এই অনুচ্ছেদের (২) দফা অনুসারে পরীক্ষার সাত দিনের মধ্যে দাখিল করা হইবে এবং অনুরূপভাবে দাখিল না করা হইলে তাহা বিবেচনার প্রয়োজন হইবে না) বিবেচিত হইবার পর সংসদের মোট সদস্য-সংখ্যার অনূন্য তিন-চতুর্থাংশ ভোটে প্রস্তাবটি গৃহীত হইলে তাহা গৃহীত হইবার তারিখে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হইবে।
 
৫৫। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি-(১) রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে ক্ষেত্রমত শূন্যপদে নির্বাচিত নতুন রাষ্ট্রপতি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা রাষ্ট্রপতি পুনরায় স্বীয় কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত উপ-রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি রূপে কার্য করিবেন।
 
(২) কোন সময়ে রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি উভয়ের পদ শূন্য হইলে কিংবা রাষ্ট্রপতি এবং উপ-রাষ্ট্রপতি উভয়েই অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে স্বীয় দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে ক্ষেত্রমত শূন্য পদে নির্বাচিত নতুন রাষ্ট্রপতি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা রাষ্ট্রপতি বা উপ-রাষ্ট্রপতি পুনরায় স্বীয় কায়ভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্পীকার রাষ্ট্রপতি রূপে কার্য করিবেন।
 
(৩) কোন সম্ভাব্য ক্ষেত্রে এই অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনের কোন বিধান না থাকিলে সংসদ যেরূপ যুক্তিযুক্ত মনে করেন, সেইরূপ বিধানাবলী প্রণয়ন করিতে পারিবেন।
 
৫৬। প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী কর্তৃত্ব-(১) প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী কর্তৃত্ব রাষ্ট্রপতির উপরে ন্যস্ত হইবে এবং এই সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তাহা প্রত্যক্ষভাবে অথবা তাহার অধীনস্থ কর্মচারীর মাধ্যমে প্রযুক্ত হইবে।
 
(২) (১) দফায় যাহা বলা হইয়াছে, তাহা সত্ত্বেও রাষ্ট্রপতি যে ক্ষমতা, তাহার আদেশের দ্বারা নির্ধারণ করিবে, উপ-রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতির সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন।
 
(৩) সরকারের সকল নির্বাহী ব্যবস্থা রাষ্ট্রপতির নামে গৃহীত হইয়াছে বলিয়া প্রকাশ করা হইবে।
 
(৪) রাষ্ট্রপতির নামে প্রণীত আদেশসমূহ ও অন্যান্য চুক্তিপত্র কীরূপে সত্যায়িত বা প্রমাণীকৃত হইবে, রাষ্ট্রপতি তাহা বিধিসমূহ দ্বারা নির্ধারণ করিবেন এবং অনুরূপভাবে সত্যায়িত বা প্রমাণীকৃত কোন আদেশ বা চুক্তিপত্র যথাযথভাবে প্রণীত বা সম্পাদিত হয় নাই বলিয়া তাহার বৈধতা সম্পর্কে কোন আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।
 
(৫) রাষ্ট্রপতি সরকারী কার্যাবলী বন্টন ও পরিচালনার জন্য বিধিসমূহ প্রণয়ন করিবেন।
 
৫৭। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন ইত্যাদির অধিকার-কোন আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যে কোন দন্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করিবার এবং যে কোন দন্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করিবার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে।
 
২ য় পরিচ্ছেদ-মন্ত্রিপরিষদ
৫৮। মন্ত্রিপরিষদ-(১) রাষ্ট্রপতিকে তাঁহার দায়িত্ব পালনে সহায়তা করিবার এবং পরামর্শদানের জন্য একটা মন্ত্রিপরিষদ থাকিবে।
 
(২) পরিষদ বা মন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে অদৌ কোন পরামর্শ দান করিয়াছেন কিনা এবং করিয়া থাকিলে কী পরামর্শ দান করিয়াছেন কোন আদালত সেই সম্পর্কে কোন প্রশ্নের তদন্ত করিতে পারিবেন না।
 
(৩) রাষ্ট্রপতির তাঁহার বিবেচনায় সংসদ-সদস্যগণের মধ্য হইতে কিংবা সংসদ-সদস্য হইবার যোগ্য ব্যক্তিগণের মধ্য হইতে একজন প্রধানমন্ত্রী এবং তিনি যেরূপ আবশ্যক মনে করিবেন সেইরূপ অন্যান্য, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী নিয়োগ করিবেন। তবে শর্ত থাকে যে, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী পরিষদের সদস্য হইবে না।
 
(৪) রাষ্ট্রপতি পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তিনি ঐ সকল সভায় উপ-রাষ্ট্রপতি অথবা প্রধানমন্ত্রীকে সভাপতিত্ব করিতে নির্দেশ দিতে পারিবেন।
 
(৫) মন্ত্রীগণ রাষ্ট্রপতির সন্তোষানুযায়ী সময়সীমা পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।
 
(৬) রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে কোন মন্ত্রী স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।
 
(৭) এই অনুচ্ছেদে ‘মন্ত্রী’ বলিতে প্রধানমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী অন্তর্ভুক্ত; এবং
(খ) ৩ য় পরিচ্ছেদ বিলুপ্ত হইবে।
 
৫। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের সংশোধন-সংবিধানে ৬৬ অনুচ্ছেদের-
(ক) (২) দফায়-
(অ) (ঙ) উপ-দফায় সেমিকোলন শেষে ‘‘অথবা’’ শব্দটা সংযোজিত হইবে;
এবং (আ) (চ) উপ-দফা বিলুপ্ত হইবে এবং
(খ) (৩) দফা বিলুপ্ত হইবে।
 
৬। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের প্রতিস্থাপন-সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে প্রতিস্থাপিত হইবেঃ
‘৭০। পদত্যাগ ইত্যাদি কারণে আসন শূন্য হওয়া-কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন অথবা সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোট দান করেন, তাহা হইলে সংসদে তাঁহার আসন শূন্য হইবে।
 
ব্যাখ্যা-যদি কোন সংসদ সদস্য, যে দল তাঁহাকে নির্বাচনে প্রার্থীরূপে মনোনীত করিয়াছেন, সেই দলের নির্দেশ অমান্য করিয়া-
 
(ক) সংসদে উপস্থিত থাকিয়া ভোটদানে বিরত থাকেন অথবা
 
(খ) সংসদে কোন বৈঠকে অনুপস্থিত থাকেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত দলের বিপক্ষে ভোট দান করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।’
 
৭। সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের সংশোধন-সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফার শর্তাংশের পরিবর্তে নিম্নরূপ শর্তাংশ প্রতিস্থাপিত হইবে;
‘তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি বৎসর সংসদের অন্ততঃ দুইটা অধিবেশন হইবে’।
 
৮। সংবিধানে নতুন ৭৩ ক অনুচ্ছেদের সংযোজন-সংবিধানের ৭৩ অনুচ্ছেদের পর নিম্নরূপ নুতন ৭৩ ক অনুচ্ছেদ সংযোজিত হইবেঃ
‘৭৩ ক। সংসদ সম্পর্কে মন্ত্রীগণের অধিকার। (১) প্রত্যেক মন্ত্রী সংসদে বক্তৃতা করিতে এবং অন্যভাবে ইহার কার্যাবলীতে অংশগ্রহণ করিতে অধিকারী হইবেন, তবে তিনি যদি সংসদ সদস্য না হন, তাহা হইলে তিনি ভোট দান করিতে পারিবেন না।
 
(২) এই অনুচ্ছেদে ‘মন্ত্রী’ বলিতে প্রধানমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী অন্তর্ভুক্ত।’
 
৯। সংবিধানের ৭৪ নং অনুচ্ছেদের সংশোধন-সংবিধানের ৭৪ অনুচ্ছেদের (৩) দফার ‘রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনে রত থাকিলে’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘রাষ্ট্রপতিরূপে কার্য করিলে’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।
 
১০। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদের সংশোধন-সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদের (১) দফার ‘সংসদের প্রত্যেক অধিবেশনের প্রথম বৈঠকে’ শব্দগুলি বিলুপ্ত হইবে।
 
১১। সংবিধানের ৮০ অনুচ্ছেদের সংশোধন-সংবিধানের ৮০ অনুচ্ছেদের (ক) দফায় ‘সম্মতি দান করিবেন’ শব্দগুলির পর ‘কিংবা তাহাতে সম্মতিদানে বিরত রহিলেন বলিয়া ঘোষণা করিবেন’ শব্দগুলি সংযোজিত হইবে।
 
১২। সংবিধানের ৮৮ নং অনুচ্ছেদের সংশোধন-সংবিধানের ৮৮ নং অনুচ্ছেদের (ক) দফার পর নিম্নরূপে নতুন দফা সংযোজিত হইবেঃ
‘(ক ক) উপ-রাষ্ট্রপতিকে দেয়া পারশ্রমিক ও তাহার দফতর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যয়।’
 
১৩। সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের সংশোধন-সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফার পরিবর্তে নিম্নরূপ (১) দফা প্রতিস্থাপিত হইবেঃ
 
‘(১) প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারকগণ রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন।’
১৪। সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের সংশোধন-সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের-
 
(ক) (২) দফার পরিবর্তে নিম্নরূপ (২) দফা প্রতিস্থাপিত হইবেঃ
 
‘(২) অসদাচরণ বা অসামর্থ্যরে কারণে রাষ্ট্রপতির আদেশ দ্বারা কোন বিচারককে তাহার পদ হইতে অপসারিত করা যাইবে;
তবে শর্ত থাকে যে, কোন বিচারককে তাহার সম্পর্কে প্রস্তাবিত ব্যবস্থা গ্রহণের বিরুদ্ধে কারণ দর্শাইবার যুক্তিসঙ্গত সুযোগদান না করা পর্যন্ত তাহাকে অপসারিত করা যাইবে না।’ এবং
 
(খ) (৩) দফা বিলুপ্ত হইবে।
 
১৫। সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদের সংশোধন-সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদের ‘প্রধান বিচারপতির সহিত পরামর্শ করিয়া’ শব্দগুলি বিলুপ্ত হইবে।
 
১৬। সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের প্রতিস্থাপন-সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের পরিবর্তে নিম্নরূপ ১০২ অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপিত হইবেঃ
‘১০২। কতিপয় আদেশ ও নির্দেশ প্রভৃতি দানের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতা-
 
(১) হাইকোর্ট বিভাগের নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, আইনের দ্বারা কোন সমফলপ্রদ বিধান করা হয় নাই, তাহা হইলে
 
(ক) যে কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আবেদনক্রমে
(অ) প্রজাতন্ত্র বা কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বিষয়াবলীর সহিত সংশ্লি¬ষ্ট যে কোন দায়িত্ব পালনে রত ব্যক্তিকে আইনের দ্বারা অনুমোদিত নয়, এমন কোন কার্য করা হইতে বিরত রাখিবার জন্য কিংবা আইনের দ্বারা তাঁহার করণীয় কার্য করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিয়া, অথবা
 
(আ) প্রজাতন্ত্র বা কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বিষয়াবলীর সহিত সংশ্লি¬ষ্ট যে কোন দায়িত্ব পালনে রত ব্যক্তিরকৃত কোন কার্য বা গৃহীত কোন কার্যধারা আইনসঙ্গত কর্তৃত্ব ব্যতিরেকে করা হইয়াছে বা গৃহীত হইয়াছে ও তাহার কোন আইনগত কার্যকারিতা নাই বলিয়া ঘোষণা করিয়া উক্ত বিভাগ আদেশ দান করিতে পারিবেন; অথবা
 
(খ) যে কোন ব্যক্তির আবেদনক্রমে
(অ) আইনসঙ্গত কর্তৃত্ব ব্যতিরেকে বা বেআইনী উপায়ে কোন ব্যক্তিকে প্রহরায় আটক রাখা হয় নাই বলিয়া যাহাতে উক্ত বিভাগের নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইতে পারে, সেইজন্য প্রহরায় আটক উক্ত ব্যক্তিকে উক্ত বিভাগের সম্মুখে আনয়নের নির্দেশ করিয়া, অথবা
 
(আ) কোন সরকারী পদে আসীন বা আসীন বলিয়া বিবেচিত কোন ব্যক্তিকে তিনি কোন কর্তৃত্ববলে অনুরূপ পদমর্যাদায় অধিষ্ঠানের দাবী করিতেছেন, তাহা প্রদর্শনের নির্দেশ প্রদান করিয়া উক্ত বিভাগ আদেশ দান করিতে পারিবেন।
 
(২) (১) দফায় যাহা বলা হইয়াছে, তাহা সত্ত্বেও হাইকোর্ট বিভাগের কোন অন্তবর্তী আদেশদানের বা এই সংবিধানে ৪৭ অনুচ্ছেদ প্রযোজ্য হয়, এইরূপ কোন আইনের ক্ষেত্রে বর্তমান অনুচ্ছেদের অধীন কোন আদেশ দানের ক্ষমতা থাকিবে না।
 
(৩) প্রসঙ্গের প্রয়োজনে অন্য রূপ না হইলে এই অনুচ্ছেদে ‘ব্যক্তি’ বলিতে সংবিধিবদ্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগসমূহ অথবা কোন শৃঙ্খলা বাহিনী সংক্রান্ত আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত কোন আদালত বা ট্রাইব্যুনাল ব্যতীত কিংবা এই 
সংবিধানের ১১৭ অনুচ্ছেদ প্রযোজ্য হয়, এইরূপ কোন ট্রাইব্যুনাল ব্যতীত যে কোন আদালত বা ট্রাইব্যুনাল অন্তর্ভুক্ত হইবে’।
 
১৭। সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদের সংশোধন-সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদের ‘আদালত ও ট্রাইব্যুনালের’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘আদালতের’ শব্দটা প্রতিস্থাপিত হইবে।
 
১৮। সংবিধানের ১১৫ অনুচ্ছেদের প্রতিস্থাপন-সংবিধানের ১১৫ অনুচ্ছেদের পরিবর্তে নিম্নরূপ ১১৫ অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপিত হইবেঃ
‘১১৫। অধঃস্তন আদালতে নিয়োগ- বিচার বিভাগীয় পদে বা বিচার বিভাগীয় দায়িত্বপালনকারী ম্যাজিষ্ট্রেট পদে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক উক্ত উদ্দেশ্যে প্রণীত বিধিসমূহ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নিয়োগদান করিবেন।’
 
১৯। সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের সংশোধন-সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের ‘সুপ্রীম কোর্টের’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘রাষ্ট্রপতির’ শব্দটা প্রতিস্থাপিত হইবে।
 
২০। সংবিধানে নুতন ১১৬ ক ধারার সংযোজন-সংবিধানের ষষ্ঠ ভাগের ২য় পরিচ্ছেদের ১১৬ অনুচ্ছেদের পর নিম্নরূপ নতুন ১১৬ ক অনুচ্ছেদ সংযোজিত হইবেঃ
 
‘১১৬ ক। বিচার বিভাগীয় কর্মচারীগণ বিচারকার্য পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন-এই সংবিধানের বিধানাবলী সাপেক্ষে বিচার কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিগণ এবং ম্যাজিষ্ট্রেটগণ বিচারকার্য পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবেন।’
 
২১। সংবিধানের ১১৭ অনুচ্ছেদের সংশোধন-সংবিধানের ১১৭ অনুচ্ছেদের (১) দফার (গ) উপ-দফার ‘৩’ সংখ্যার পরিবর্তে ‘২’ সংখ্যা প্রতিস্থাপিত হইবে।
২২। সংবিধানের নতুন ষষ্ঠ-ক ভাগের সংযোজন-সংবিধানের ষষ্ঠভাগের পর নিম্নরূপ নুতন ষষ্ঠ-ক ভাগ সংযোজিত হইবেঃ
 
ষষ্ঠ-ক ভাগ
 
জাতীয় দল
১১৭-ক। জাতীয় দল-(১) রাষ্ট্রপতির নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে এই সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে বর্ণিত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিসমূহের কোন একটা পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করিবার উদ্দেশ্যে অনুরূপ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি, আদেশ দ্বারা নির্দেশ দিতে পারিবেন যে রাষ্ট্রে শুধু একটা রাজনৈতিক দল (অতঃপর জাতীয় দল নামে অভিহিত) থাকিবে।
 
(২) যখন (১) দফার অধীন কোন আদেশ প্রণীত হয়, তখন রাষ্ট্রের সকল রাজনৈতিক দল ভাঙ্গিয়া যাইবে এবং রাষ্ট্রপতি জাতীয় দল গঠন করিবার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন।
 
(৩) জাতীয় দলের নামকরণ, কার্যসূচী, সদস্যভুক্তি, সংগঠন, শৃঙ্খলা, অর্থ সংস্থান এবং কর্তব্য ও দায়িত্ব সম্পর্কিত সকল বিষয় রাষ্ট্রপতির আদেশ দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
 
(৪) (৩) দফার অধীন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রণীত আদেশ সাপেক্ষে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কোন ব্যক্তি জাতীয় দলের সদস্য হইবার যোগ্য হইবেন।
 
(৫) এই সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে তাহা সত্ত্বেও, যখন জাতীয় দল গঠিত হয়, তখন কোন ব্যক্তি-
 
(ক) যদি তিনি, যে তারিখে জাতীয় দল গঠিত হয়, সেই তারিখে, সংসদ-সদস্য থাকেন, তাহা হইলে তিনি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় দলের সদস্য না হইলে সংসদ সদস্য থাকিবেন না এবং সংসদে তাহার আসন শূন্য হইবে;
 
(খ) যদি তিনি জাতীয় দলের দ্বারা রাষ্ট্রপতি বা সংসদ সদস্য নির্বাচনে প্রার্থীরূপে মনোনীত না হন, তাহা হইলে অনুরূপ নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি বা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন না;
 
(গ) জাতীয় দল ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক দল গঠন করিবার বা অনুরূপ দলের সদস্য হইবার কিংবা অন্যভাবে অনুরূপ দলের কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করিবার অধিকার প্রাপ্ত হইবেন না।
 
(৬) এই অনুচ্ছেদের অধীন প্রণীত কোন আদেশ পরবর্তী কোন আদেশ দ্বারা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।
 
২৩। সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদের সংশোধন-সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদের (১) দফার-
 
(ক) ‘সংসদের সকল নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুুতকরণের তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ এবং সংসদের নির্বাচন ও রাষ্ট্রপতি পদের শব্দগুলির পরিবর্তে ‘রাষ্ট্রপতি-পদের ও সংসদের সকল নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুুতকরণের তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অনুরূপ’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;
 
(খ) (খ) দফায় ‘এবং’ শব্দটা বিলুপ্ত হইবে; এবং
(গ) (গ) দফার পরিবর্তে নিম্নরূপ (গ) এবং (ঘ) দফা প্রতিস্থাপিত হইবেঃ
 
‘(গ) সংসদে নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ করিবেন; এবং
(ঘ) রাষ্ট্রপতি-পদের এবং সংসদের নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুুত করিবেন।’
 
২৪। সংবিধানের ১২২ অনুচ্ছেদের সংশোধন-সংবিধানের ১২২ অনুচ্ছেদে-
 
(ক) (১) দফার ‘ভোটাধিকার-ভিত্তিতে’ শব্দটার পরে ‘রাষ্ট্রপতি-পদের ও’ শব্দগুলি সংযোজিত হইবে; এবং
(খ) (২) দফার পর নিম্নরূপ নতুন দফা সংযোজিত হইবেঃ
 
‘(৩) কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি-পদের নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকাভুক্ত হইবার অধিকারী হইবেন, যদি তিনি (২) দফার অধীন কোন নির্বাচনী এলাকার ভোটার তালিকাভুক্ত হইবার অধিকারী হন।
 
২৫। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের সংশোধন-সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে,
(ক) (১) দফায়-
(অ) ‘নব্বই দিন’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘একশত আশি দিন’ প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং
(আ) শর্তাংশটি বিলুপ্ত হইবে’
 
(খ) (২) দফার ‘নব্বই দিনের’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘একশত আশি দিনের’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।
২৬। সংবিধানের ১২৪ অনুচ্ছেদের প্রতিস্থাপন-সংবিধানের ১২৪ অনুচ্ছেদের পরিবর্তে নিম্নরূপ ১২৪ অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপিত হইবেঃ
‘১২৪। নির্বাচন সম্পর্কে সংসদের বিধান প্রণয়নের ক্ষমতা-এই সংবিধানের বিধানাবলী সাপেক্ষে সংসদ আইনের দ্বারা-
 
(ক) ভোটার তালিকা প্রস্তুুতকরণ
(খ) সংসদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্বাচনী এলাকার সীমা নির্ধারণ;
(গ) নির্বাচন অনুষ্ঠান; এবং
(ঘ) রাষ্ট্রপতি-পদের নির্বাচনের জন্য এবং সংসদের যথাযথ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়সহ রাষ্ট্রপতি পদের কিংবা সংসদের নির্বাচন সংক্রান্ত বা নির্বাচনের সহিত সম্পর্কিত সকল বিষয়ে বিধান প্রণয়ন করিতে পারিবেন।’
 
২৭। সংবিধানের ১৪১ ক অনুচ্ছেদের সংশোধন-সংবিধানের ১৪১ ক অনুচ্ছেদের (১) দফার শর্তাংশটা বিলুপ্ত হইবে।
 
২৮। সংবিধানের ১৪৭ অনুচ্ছেদের সংশোধন-সংবিধানের ১৪৭ অনুচ্ছেদের (৪) দফার (ক) উপ-দফার পর নিম্নরূপ নতুন উপ-দফা সংযোজিত হইবেঃ
‘(ক ক) উপ-রাষ্ট্রপতি,’।
 
২৯। সংবিধানের ১৪৮ অনুচ্ছেদের সংশোধন-সংবিধানের ১৪৮ অনুচ্ছেদের (২) দফার ‘এবং কোন কারণে সেই ব্যক্তির নিকট শপথ গ্রহণ সম্ভব না হইলে’ শব্দগুলি বিলুপ্ত হইবে।
 
৩০। সংবিধানের দ্বিতীয় তফসিলের বিলোপ-সংবিধানের দ্বিতীয় তফসিল বিলুপ্ত হইবে।
 
৩১। সংবিধানের তৃতীয় তফসিলের সংশোধন-সংবিধানের তৃতীয় তফসিলে-
 
(ক) ১ ফরমে ‘প্রধান বিচারপতি’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘স্পীকার’ শব্দটা প্রতিস্থাপিত হইবে।
 
(খ) (১) ফরমের পর নিম্নরূপ নতুন ফরম সংযোজিত হইবেঃ
 
‘১ ক। উপ-রাষ্ট্রপতি-রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিম্নলিখিত ফরমে শপথ (বা ঘোষণা) পাঠ পরিচালিত হইবেঃ
‘আমি,............................., সশ্রদ্ধচিত্তে শপথ (বা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা) করিতেছি যে, আমি আইন-অনুযায়ী বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রপতি পদের কর্তব্য বিশ্বস্ততার সহিত পালন করিব;
আমি বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য পোষণ করিব;
আমি সংবিধানের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান করিব;
এবং আমি ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া সকলের প্রতি আইন-অনুযায়ী, যথাবিহিত আচরণ করিব।;
 
(গ) ৩ ফরমে ‘প্রধান বিচারপতি’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘রাষ্ট্রপতি’ শব্দটা প্রতিস্থাপিত হইবে;
(ঘ) ৪ ফরমে ‘প্রধান বিচারপতি’ শব্দগুলির পরিবর্তে ‘রাষ্ট্রপতি’ শব্দটা প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং
(ঙ) ৫ ফরমে ‘সংসদের কোন বৈঠক’ শব্দগুলি বিলুপ্ত হইবে। 
 
৩২। চতুর্থ তফসিলের সংশোধন- সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হইবে।
 
৩৩। প্রথম সংসদের মেয়াদ বৃদ্ধি-সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে, তাহা সত্ত্বেও এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে দায়িত্ব পালনরত সংসদ, রাষ্ট্রপতি পূর্বে ভাঙ্গিয়া না দিয়া থাকিলে, এই আইন প্রবর্তন হইতে পাঁচ বৎসর অতিবাহিত হইলে ভাঙ্গিয়া যাইবে।
 
৩৪। রাষ্ট্রপতি-সংক্রান্ত বিশেষ বিধান-সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে, তাহা সত্ত্বেও এই আইন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে,
(ক) এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে যিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি-পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন, তিনি রাষ্ট্রপতির পদে থাকিবেন না এবং রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হইবে;
 
(খ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হইবেন এবং রাষ্ট্রপতির কার্যভার গ্রহণ করিবেন এবং উক্ত প্রবর্তন হইতে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি-পদে বহাল থাকিবেন যেন তিনি এই আইনের দ্বারা সংশোধিত সংবিধানের অধীন রাষ্ট্রপতি-পদের নির্বাচিত হইয়াছেন।
 

 সৈয়দ মাহবুবার রহমান
সচিব।

No comments:

Post a Comment